• Home
  • Articles
  • Islamic :: Bangla
  • ধর্ষণ - শারিয়া আইন দিয়ে কেন বন্ধ করা যাবে না ?

ধর্ষণ - শারিয়া আইন দিয়ে কেন বন্ধ করা যাবে না ?

 

(শারিয়া আইন দিয়ে কি ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে? একটি একাডেমিক বিশ্লেষণ :- https://bangla.bdnews24.com/opinion/abdcf3033a2b - BDNEWS24.COM 18 Mar 2025

ধর্ষক ও নারী-নিগ্রহকারীদেরর অপ্রতিহত দাপটে আতঙ্কিত ও কলঙ্কিত বাংলাদেশ। মারাত্মকভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে নারীরা এমনকি শিশুরাও। এমন হিংস্র নারীবিরোধী বাংলাদেশ এবং এমন অপদার্থ সরকার তো আমরা কল্পনাও করিনি!! চতুর্দিকে দাবি উঠেছে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের শারিয়া আইন প্রয়োগের। আমি শারিয়া আইনের গঠনমূলক সমালোচক - কিন্তু এক্ষেত্রে আমি বলবো শারিয়া আইন দিয়ে যদি ধর্ষণ উচ্ছেদ করা যায় তবে তাই হোক। তবে আমার চোখে কিছু বিষয় ধরা পড়েছে যেগুলো আলেমদের নজরে আনা দরকার।  

**- এ নিবন্ধে কোরান ও অন্যান্য শারিয়া কেতাবের সাথে "বিইআ" হল প্রয়াত আলেম শাহ আবদুল হান্নান সহ ছয় জন আলেমের কমিটি দ্বারা সংকলিত ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত তিন খন্ডের "বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন", প্রধানত: হানাফী আইনের সংকলন। কারো কোন প্রশ্ন থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন - কমিটির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত আইন বিশেষজ্ঞ গাজী শামসুর রহমান, সদস্য আ. জ. ম. শামসুল আলম, মাওলানা ওবায়দুল হক , মাওলানা মোহাম্মদ মুসা ও মাওলানা মো: মোজাম্মেল হক।

এবারে (1) ধর্ষণ কাকে বলে, (2) ধর্ষণ কি ধরনের অপরাধ, (3) ধর্ষণের শাস্তি ও (4) প্রমাণ।   

(1-). ধর্ষণ কাকে বলে –

বিইআ ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৪ক :- "কোনো পুরুষ বা নারী বলপ্রয়োগ করিয়া পর্যায়ক্রমে কোনো নারী বা পুরুষের সহিত সঙ্গম করিলে তাহা জ্বেনা হিসেবে গণ্য হইবে”।

অর্থাৎ ধর্ষণ “জ্বেনা হিসেবে গণ্য হইবে”।  

বিইআ ১ম খণ্ড ধারা ১৩৪খ:- "বলপ্রয়োগকারী জ্বেনার শাস্তি ভোগ করিবে যদি বলপ্রয়োগ প্রমাণিত হয়"।

সুস্পষ্ট আইন - "বলপ্রয়োগকারী" অর্থাৎ ধর্ষক “জ্বেনার শাস্তি ভোগ করিবে”। 

বিশ্ববিখ্যাত শারিয়াবিদ ড. আব্দুর রহমান ডোই- এর ‘শারিয়া দি ইসলামিক ল' পৃষ্ঠা ২২৫,  নিচের তালিকায় নাম্বার 3 -শারিয়া আইনে অবিবাহিত জ্বেনাকারীর শাস্তি একশ চাবুক, মৃত্যুদণ্ড নয়। অবিবাহিত ধর্ষকের উকিল হাতে ছাই মেখে আইনের এই ফাঁকটাই কষে চেপে ধরবেন, বেত্রদন্ড দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচিয়ে নেবেন।

                         DOI.png

 

(2-) ধর্ষণ কি ধরনের অপরাধ- কোরান ও হাদিস:-

কোরানে প্রত্যক্ষভাবে "ধর্ষণ" শব্দে ধর্ষণের উল্লেখ নেই। শারিয়াতে ধর্ষণকে 'হিরাবা" অপরাধের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে - মায়েদা ৩৩: - "যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ভূপৃষ্ঠে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে"।

বিইআ ১ম খন্ড ধারা ১৩ – “হিরাবাহ্‌ বলিতে সংঘবদ্ধ শক্তির জোরে আক্রমণ চালাইয়া আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাইয়া জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা বোঝায়। সম্পদ লুন্ঠন, শ্লীলতাহানী, হত্যা ও রক্তপাত ইহাতে অন্তর্ভুক্ত”।  

এ অপরাধের শাস্তি:- “হিরাবা'র অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী তওবা করিলেও শাস্তি হইতে রেহাই পাইবে না – হিরাবার অপরাধের শাস্তি ব্যতীত তওবা অন্য কোন শাস্তি বাতিল করে না”, “হিরাবার অপরাধের শাস্তি ব্যতীত তওবা অন্য কোন শাস্তি বাতিল করে না'' –আইন নং ১৩, বিইআইন ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা ২১৮ ও ২২২।  অর্থাৎ তওবা করলে ধর্ষকের কোন শাস্তি হবে না।            BIA_1.pngBIA_2.png                 

ধর্ষণ হুদুদ অপরাধ কারণ নবীজি (সা) ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন - আবু দাউদ হাদিস ৪৩৭৯ (সূত্রভেদে ৪৩৬৬), লিংক:- https://sunnah.com/abudawud:4379ABU_DAUD.png

এটা সহি তিরমিজিতেও আছে - লিংক:- https://sunnah.com/tirmidhi:1454

হুদুদ কি? হুদুদ হল সেই সাত রকম মামলা যার শাস্তি কেউ তিলমাত্র বদলাতে পারবে না -  (1) খুন বা জখম, (2) চুরি, (3) জ্বেনা, (4) মানহানি, (5) ইসলাম ত্যাগ, (6) মদ্যপান এবং (7) হাইওয়ে রবারি - যাকে অনেক আলেম বলেন রাষ্ট্রদ্রোহিতা। জ্বেনার শাস্তি বিবাহিতদের জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড এবং "hundred lashes for an unmarried person" অর্থাৎ অবিবাহিতদের জন্য একশ বেত্রাঘাত- দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিখ্যাত শারিয়াবিদ ড. আব্দুর রহমান ডোই- এর ‘শারিয়া দি ইসলামিক ল' পৃষ্ঠা ২২৫

(3). ধর্ষণের শাস্তি:- হাদিসে আমি ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি পেয়েছি মৃত্যুদণ্ড।  

(4). "বলপ্রয়োগকারী জ্বেনার শাস্তি ভোগ করিবে যদি বলপ্রয়োগ প্রমাণিত হয়”, ও  "জেনা ও ধর্ষণ সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ না হইলে জেনাকারীর শাস্তি হইবে না যদি সে অস্বীকার করে"– বিইআ ১ম খণ্ড ধারা ১৩৪খ ও পৃষ্ঠা ৩০১।

(5A-). জ্বেনা'র প্রমাণ - উদ্ধৃতি:- "চারিজন বালেগ, বুদ্ধিমান, বাকশক্তি সম্পন্ন ও ন্যায়পরায়ন মুসলিম পুরুষ যদি যুগপৎভাবে বাচনিক সাক্ষী দেয় যে, তাহারা একত্রে একই সময়ে ও একই স্থানে স্বচক্ষে অভিযুক্ত পুরুষকে" জ্বেনা করতে দেখেছে - বিইআ ১ম খণ্ড ধারা ১৪৯

(5B-). জ্বেনা'র প্রমাণ - পাকিস্তানের হুদুদ আইন, নং ৭-১৯৭৯, সংশোধনী ২০, ৮খ – ১৯৮০:- "জ্বেনা ও ধর্ষণের প্রমাণ অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি অথবা চারজন বয়স্ক পুরুষ মুসলমানের চাক্ষুষ সাক্ষ্য" - “Criminal Law in Islam and the Muslim World – a Comparative Perspective” – Dr. Tahir Mahmood, page 445:-  

                                TAHIR.png     

(5) নারীর জীবনে এই আইনের প্রভাব – অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, পাকিস্তানে ধর্ষণের চারজন সাবালক পুরুষ মুসলমান চাক্ষুষ সাক্ষী আনতে না পারায় হাজার হাজার ধর্ষিতা আদালতে শাস্তি পেয়েছেন বেত্রাঘাতের এবং বহুবছর কারাদণ্ডের। দেখুন বিবিসি নিউজ - "ইতিহাসের সাক্ষী: পাকিস্তানের যে আইনে ধর্ষিত নারীদের অপরাধী সাব্যস্ত করা হতো" - https://www.bbc.com/bengali/news-61417844

উদ্ধৃতি - “নারী ধর্ষণের অভিযোগ আনলে তাকে ওই ঘটনার চারজন পুরুষ সাক্ষী আনতে হতো। যে কারণে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা ছিল একরকম অসম্ভব। জোর করে যৌন সংসর্গ করা হয়েছে তা প্রমাণ করতে না পারলে তখন ওই ধর্ষিত নারীর বিরুদ্ধে যিনা আইন প্রয়োগ করা হতো, যার শাস্তি ছিল কারাদণ্ড আর বেত্রাঘাত” - আইনজীবী হিনা জিলানি।

ধর্ষিতারা জ্বেনার শাস্তি ছাড়াও আরেক মামলায় শাস্তি পেত। "প্রমাণের অভাবে" খালাস পাবার পর ধর্ষকেরা ধর্ষিতাদের বিরুদ্ধে এই দাবি করে মামলা করত যে, ধর্ষিতা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে সমাজে তার সম্মানহানি করেছে। সেই মানহানির মামলায় ধর্ষিতারা কারাদণ্ড পেত। থানা ও জেলখানাতেও ধর্ষিতারা অত্যাচারিত হতো। "ইসলামী রাষ্ট্রে"র পুলিশ নারী নিগ্রহের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল-এর রিপোর্ট - সার্চ - police abuse of women in Pakistan - https://www.hrw.org/reports/1992/pakistan/

অগণিত নারীর জীবন ধ্বংস হয়েছে, অগণিত বাচ্চারা আজীবন ট্রমায় ভুগেছে কিন্তু কোন মুসলিম দেশ, কোন আলেম এই বর্বরতার প্রতিবাদ করেছেন বলে জানিনা। এই উদ্ভট ও হিংস্র আইন বিশ্বসভায় পাকিস্তানের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছিল। কিন্তু বারবার সংসদে এ আইন বাতিলের প্রস্তাব উঠলেও জামাতের বিরোধিতার জন্য ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেটা সফল হয়নি। টিভি সাক্ষাৎকারে জামাতের আমির মুনাওয়ার হাসান জোর গলায় এই নৃশংস শারিয়া আইন সমর্থন করেছেন। লিংক:-

  1. DARSTV – Search:- “Jamaat Islami Leader Encouraging Women Rape!!! Shocking” :- https://www.youtube.com/watch?v=-Xul14hvBBg
  2. Tribune – Search:- “The Jamat-e-Islami, and rape” -  https://tribune.com.pk/article/6709/the-jamat-e-islami-and-rape     
  3. MUNAWAR.png

এবারের সংশ্লিষ্ট কিছু আইন দেখিয়ে আলেমদেরকে বলবো - যদি এতে সমস্যা দেখেন তাহলে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন। যদি সমস্যা না দেখেন তবে বলার কিছু নেই। 

**- জ্বেনা-ধর্ষণসহ যেকোনো অপরাধ আদালতে প্রমাণের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না - বিইআ ৩য় খন্ড ধারা ১২৮২। অর্থাৎ খুন ধর্ষণ ব্যাংক ডাকাতি সহ যেকোন অপরাধের পরিকল্পনার সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না - অপরাধ ঘটবার পর তদন্ত হবে, আদালতে প্রমাণ হবে তারপর অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে। 

**- ব্যভিচারের মামলায় নারীসাক্ষী অবৈধ - মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরান – পৃষ্ঠা ২৩৯ আর ৯২৮:-                        KHAN2.png

আইনটাকে মেরামত করার চেষ্টা হয়েছে। ১১ শতাব্দীতে স্পেনের ইমাম ইবনে হাজম প্রস্তাব করেছিলেন, জেনা প্রমাণের ক্ষেত্রে চারজন ন্যায়পরায়ণ মুসলমান পুরুষ সাক্ষী বা প্রতি পুরুষের পরিবর্তে দুজন মুসলিম ন্যায়পরায়ণ মহিলা হলেও চলবে - বিইআ ৩য় খণ্ড, ৮৮৮ পৃষ্ঠা।

অর্থাৎ সাতজন মেয়ের সামনে যদি জেনা বা ধর্ষণ হয় তবে অপরাধীরা মুক্ত হয়ে যাবে, এবং "ন্যায়পরায়ণ মহিলা" কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে উকিলদের হুলুস্থুল তর্কবিতর্ক কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। 

**- ধর্ষণ হুদুদ মামলা এবং "হুদুদ মামলায় নারী বিচারক অবৈধ" - বিইআ ২য় খণ্ড, ধারা ৫৫৪।

**- "জেনা ও ধর্ষণ সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ না হইলে জেনাকারীর শাস্তি হইবে না যদি সে অস্বীকার করে"– বিইআ প্রথম খণ্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা। 

**- "কোনো কারণে শাস্তি মওকুফ হইলে ধর্ষক ধর্ষিতাকে মোহরের সমান টাকা দিবে" – বিইআ ১ম খণ্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা, শাফি আইন m.8.10.  ধর্ষণের মত মারাত্মক অপরাধের শাস্তি কেন মওকুফ হবে? 

**- "হুদুদ মামলায় পারিপার্শ্বিক প্রমাণ চলিবে না।" (অর্থাৎ আঙ্গুলের ছাপ, ডিএনএ টেস্ট, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি পরোক্ষ প্রমাণ চলবে না, চাক্ষুষ সাক্ষী থাকতে হবে)-– 'বিইআ ২য় খণ্ড, ধারা ৬০০।

**- "চাক্ষুষ সাক্ষ্য না থাকলে শুধু আলামতের ভিত্তিতে খুনি-ডাকাতের শাস্তি হবে না" – 'বিইআ ধারা ৬০০-এর বিশ্লেষণ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯২।

**- "বোবার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়" – 'বিইআ ১ম খণ্ড, ধারা ১৪৯।

"দাস-দাসী, গায়িকা এবং সমাজের নিচু ব্যক্তির (রাস্তা পরিষ্কারকারী বা শৌচাগারের প্রহরী ইত্যাদি) সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়"– 'বিইআ ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৩; হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ৩৬১; শাফি আইন o.24.3; পেনাল ল’ অব ইসলাম', পৃষ্ঠা ৪৬।

**- সাধারণভাবে বলতে হলে, - চুরি-ডাকাতি-মদ্যপান-খুন-জখম-মানহানি-জেনা’র প্রমাণ চারজন পুরুষ সাক্ষী, নারী-সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়- বিইআ ১ম খণ্ড ধারা ১৩৩;  শাফি আইন” উমদাত আল সালিক (আল আজহার ইউনিভার্সিটি দ্বারা সত্যায়িত) আইন নং 0.13.1, 0.24.9; 'দ্য পেনাল ল অব ইসলাম', পৃষ্ঠা ৪৪; হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ৩৫৩; 'ক্রিমিন্যাল ল ইন ইসলাম অ্যান্ড দ্য মুসলিম ওয়ার্লড', পৃষ্ঠা ২৫১।

এসব কারণে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ শরিয়া বিশেষজ্ঞ ড. হাশিম কামালি ব্যাকুল হয়ে বলেছেন: - 

"শরিয়াকে এ যুগে চালাইতে হইলে অবশ্যই যে প্রচণ্ড ঘষামাজা করিতে হইবে সে ব্যাপারে আমি সবাইকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি… সেই যুগে যে উদ্দেশ্যে শরিয়ার উসুল বানানো হইয়াছিল অনেক কারণেই এখন উহা সেই উদ্দেশ্য অর্জন করিতে সক্ষম নহে… শরিয়ার উসুল নিজের পদ্ধতি ও তত্ত্বের ভেতর সমাজের স্থান-কালের ব্যাপার ঠিকমতো অন্তর্ভুক্ত করে নাই"– 'প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স', ড. হাশিম কামালি, পৃষ্ঠা ১৩, ৫০০, ৫০৪।

ইসলামে খালেক ও মাখলুকের মধ্যে কোনো দালালের জায়গা নেই, রোজ হাসরে আপনার জবাব আপনাকেই দিতে হবে। কেতাবের পৃষ্ঠার স্ক্যান চাইলে মেসেঞ্জার বা ইমেইলে যোগাযোগ করুন hasan @hasanmahmud.com

RELATED:-

1. শারিয়া আইনের উদাহরণ":- https://hasanmahmud.com/index.php/articles/islamic-bangla/214-2023-03-24-00-05-10

2. অনেক শারিয়া আইন হাদিস ভিত্তিক। আধ্যাত্মিক ও উপদেশ মূলক হাদিসের পাশাপাশি অনেক প্রশ্নবিদ্ধ হাদিস ও আছে - "অশ্লীল, উদ্ভট ও প্রশ্নবিদ্ধ হাদিসের ৩৭টি উদাহরণ" - https://hasanmahmud.com/index.php/articles/islamic-bangla/291-2024-06-14-15-58-25  


Print